Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

চট্টগ্রাম জেলা ব্র্যান্ডিং

জেলা ব্র্যান্ডিং এর কর্মপরিকল্পনা

চট্টগ্রাম জেলা ব্র্যান্ডিং

Chittagong: Blue.Business.Beauty (চট্টগ্রাম: সাগর.বাণিজ্য.সৌন্দর্য)

ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, পাহাড়-নদী-নালা ও সুনীল বঙ্গোপসাগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শিল্প ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব, সর্বোপরি অনন্য আতিথেয়তা প্রভৃতি মিলিয়ে চট্টগ্রাম হচ্ছে “অপার বৈচিত্র্যের ভাণ্ডার”। Blue.Business.Beauty- এই ট্যাগলাইনটি চট্টগ্রাম জেলার অনন্য ও অপার বৈচিত্র্য এবং অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে ধারণ করে। ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা তথা সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো আরো সুদৃঢ় হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রসার ঘটবে এবং চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য দেশে-বিদেশে সুখ্যাতি লাভ করবে।

বৈচিত্র্যময সমৃদ্ধ চট্টগ্রামের প্রেক্ষাপটে Blue.Business.Beauty এর তাৎপর্য

Blue

বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম জেলা একটা বিশেষ স্থান দখল করে আছে। আর চট্টগ্রামের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের মধ্যে সর্বাগ্রে যেটি আসে তা হলো সাগর এবং সাগরকেন্দ্রিক অর্থনীতি। মূলত এই সুনীল সাগরকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে এই জনপদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসায়-বাণিজ্য-অর্থনীতি। আর তাই চট্টগ্রামের নামের সাথেই যেটি সবার আগে চলে আসে তা হল সাগর ও বন্দর। চট্টগ্রামের এই বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসায়-বাণিজ্য এর জন্য চট্টগ্রাম জেলা 'বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ' ‘বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে সারা দেশে।

সম্প্রতি ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্র জয়ের পর ১,১৮,৮১৩ বর্গ কি.মি. এর যে বিশাল সমুদ্রাঞ্চল, উপকূল হতে ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ৩৫৪ নটিক্যাল মাইলের মহীসোপান অঞ্চলের তলদেশে অবস্থিত সকল প্রাণিজ-অপ্রাণিজ সম্পদের অধিকার লাভের পর সরকার এখন 'Blue Economy' র অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর নীতি গ্রহণ করেছে। আর তাই সাগর ও সাগরকেন্দ্রিক সবকিছুকে বোঝাতে আমাদের ট্যাগলাইনের প্রথম শব্দটি- 'Blue'

Business:

চট্টগ্রাম একক জেলা হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত। কর্ণফুলী নদীর মোহনাতে অবস্থিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং প্রধান সমুদ্র বন্দরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬০ সালে। সেই থেকে দেশের আমদানী রপ্তানি বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র এই চট্টগ্রাম জেলা। এই বন্দরে প্রতি বছর প্রায় ২০বিলিয়ন ডলার রপ্তানী বাণিজ্য হয়ে থাকে, যা আমাদের মোট রপ্তানীর প্রায় ৪৫%। সারা দেশের প্রায় ৪০% ভারী শিল্প গড়ে উঠেছে এই চট্টগ্রাম জেলায়, গড়ে উঠেছে দুইটি রপ্তানী প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা বা EPZ। বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির অন্যতম প্রাণশক্তি তৈরী পোশাক শিল্পের একটি বিরাট অংশ রয়েছে এই চট্টগ্রাম জেলায়। এছাড়াও গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, রেকিট বিনকিজার, ইউনিলিভার বাংলাদেশ, জেমস ফিনলে পিএলসি, বোক বাংলাদেশ লিমিটেডসহ বেশ কিছু জাতীয় ও বহুজাতিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ অংশের প্রধান কেন্দ্র এই জেলায় অবস্থিত। জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ ভাংগা শিল্পসহ বহু শিল্পের আতুর ঘর এই বীর চট্টলা।

চট্টগ্রাম জেলার ব্র্যান্ডিং এ অবধারিতভাবেই চলে এসেছে এই বাণিজ্য আর তাই আমাদের স্লোগানের দ্বিতীয় শব্দটি হচ্ছে - 'Business'

Beauty:

উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অধুনিক সব নাগরিক সুবিধা, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা আর মানুষ সৃষ্ট দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনার পাশাপাশি পাহাড়-সাগরের এক অপূর্ব মিতালিতে সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে এই চট্টগ্রাম জেলা। এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছোট ছোট পাহাড়, আছে সৈকত, আর পর্যটক আকৃষ্ট করার মত নানা দর্শনীয় স্থান। এখানে রয়েছে পতেংগা সী বীচ, পারকি বীচ, কর্ণফুলী নদী, হালদা নদী, ভাটিয়ারী গলফ ক্লাব, বাটালি হিল, জিলাপি হিল, ডিসি হিল, ওয়ার সিমেট্রি, সিআরবি এলাকা, শোলশহর ফরেস্ট হিল, ফয়েজ লেক, ওয়েস্ট পয়েন্ট বীচসহ আরো নানা দৃষ্টিনন্দন স্থান।

চট্টগ্রামের সৌন্দর্য শুধু তার ভৌগলিক অবস্থান, সীমা আর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এর বিস্তৃতি ঘটেছে এর ঐতিহ্য আর বৈচিত্র্যেও। চট্টগ্রামের মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ভাষা, জীবনাচরণ ও আতিথেয়তার যে বৈচিত্র্য রয়েছে সেটিও এর সৌন্দর্যের একটি বিশেষ দিক। এ অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে মেজবান, সাম্পানসহ চট্টগ্রামের একেবারেই স্বতন্ত্র আঞ্চলিক ‘চাটগাইয়া’ ভাষা। চট্টগ্রামের অধিবাসীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের এই রূপ বৈচিত্র্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্যকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।

আর তাই জেলা ব্র্যান্ডিং এ আমাদের স্লোগানে উঠে এসেছে চট্টগ্রামের সৌন্দর্যের কথা। তথা-'Beauty' শব্দটি।


জেলা ব্র্যান্ডিং নির্ধারণ উপ-কমিটি:

০১। জনাব মোঃ খোরশেদ আলম, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার, চট্টগ্রাম।

02। জনাব মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), চট্টগ্রাম।

03। জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), চট্টগ্রাম।

04। অধ্যাপক সজীব কুমার ঘোষ, চেয়ারম্যান, মার্কেটিং বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

05। ড. মোঃ মঞ্জুরুল কিবরীয়া, সহযোগী অধ্যাপক, প্রাণীবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

০৬। ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেন, অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

07। জনাব তুনাজ্জিনা সুলতানা, মার্কেটিং বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ।