দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে স্বীকৃত চট্টগ্রামের হাজার বছরের পুরাতন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী। বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি, প্রাচ্যের রাণী বীর প্রসবিনী, আধ্যাত্মিক রাজধানী, বন্দরনগরী, আন্তর্জাতিক পর্যটন নগরী, কল্যাণময় নগরী এমন অসংখ্য নামে পরিচিত এই চট্টগ্রাম।
জেলার নামকরণের ইতিহাসঃ
কথিত আছে, আজ থেকে বহু বছর পূর্বে চট্টগ্রাম ছিল বনজঙ্গল দিয়ে ঘেরা, বিভিন্ন হিংস্র প্রাণীর অভয়ারণ্য এবং জিন-ভূতের আখড়া। হযরত বদর আউলিয়া আরব রাজ্য থেকে পাথরে ভেসে এখানে এসে একটি চাটির প্রজ্জ্বলন করেন। তার আধ্যাত্মিক প্রচেষ্টায় এই অঞ্চল জিন-ভূতমুক্ত হয়। একটি চাটি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে পুরো অঞ্চল সব প্রতিকূলতা থেকে মুক্তি লাভ করায় এই জায়গার নাম হয়েছে চাটিগাঁ থেকে চাটগাঁ, পরে চট্টগ্রাম। এখনো জামালখান এলাকার বদর আউলিয়ার সেই স্মৃতিবিজড়িত জায়গার স্মৃতিচিহ্ন বিদ্যমান। যা চেরাগী পাহাড় নামে পরিচিত। চাটি মানে চেরাগ। তাই এই পাহাড়ের নাম চেরাগী পাহাড়।
চট্টগ্রাম নামকরণের আরো একটি ইতিহাস রয়েছে। ইতিহাসবিদদের মতে, চট্টগ্রাম নামের উৎস অনুসন্ধানে দ্রাবিড় যোগসূত্র রয়েছে। চট্ট’ চাটি বা চাডি দ্রাবিড়জাত ভাষার প্রকাশ। চোট্টি’ চেট্টি ইত্যাদি শব্দও সাদৃশ্য। এই শব্দ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার আগে চট্টগ্রামের নামকরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পর্যটক, পরিব্রাজক ও পন্ডিতগণ লিখিত বিবরণ এবং অঙ্কিত মানচিত্রে চট্টগ্রামকে বিভিন্ন নামে খ্যাত করেছিলেন। যেমনঃ চিৎ-তৌং-গং, শ্যাঃগাঙ্গ, চৈত্যগ্রাম, চট্টল, চাটিগ্রাম, চাটিগাঁও, চতুর্গ্রাম, চাটিগাঁ, সোদকাওয়ান, চাটিকিয়াং, শাতজাম, জেটিগা, দেবগাঁ, দেবগাঁও ইত্যাদি। এতদঞ্চলে জনবসতি গড়ে ওঠার শুরু থেকেই একের পর এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে। বাংলায় এ অঞ্চল থেকেই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল।
প্রাচীন মসজিদের ইতিহাসঃ
চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার সাথে মোঘলদের চট্টগ্রাম বিজয়ের কাহিনী সম্পর্কিত। এই কেল্লায় আরাকানি মগ ও পর্তুগীজ জলদস্যুদের আস্তানা ছিল। মোঘলরা মগ ও পর্তুগীজ জলদস্যুদের উপর বিজয় অর্জন করে। ১৬৬৭ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেবের নির্দেশে শায়েস্তা খাঁয়ের পুত্র উমেদ খাঁ আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ নির্মাণ করেন। এই মসজিদ নির্মাণের পর থেকেই চট্টগ্রামের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হয়ে উঠে। এই মসজিদের ইমাম-খতিব নিযুক্ত হতেন পবিত্র মদিনার আওলাদে রাসুল (রা.) গণ। ফলে অল্প দিনের মধ্যেই এই মসজিদ জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। বলা বাহুল্য যে, এই মসজিদে প্রতি জুম্মায় চট্টগ্রাম ও এর আশপাশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও মুসল্লিরা এসে নামাজ আদায় করতেন এবং পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমায় কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকেও মানুষের সমাগমের নজির আছে। রোজা, ফিতরা এবং ঈদের চাঁদ দেখা প্রশ্নে এই মসজিদের ফয়সালা চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণ মেনে চলত অবধারিতভাবে। আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের স্থাপত্য ও গঠন মুঘল রীতি অনুযায়ী তৈরি। মসজিদটি নির্মাণ কৌশলগত দিক থেকে দিল্লির ঐতিহাসিক জামে মসজিদের প্রায় প্রতিচ্ছবি হওয়ায় এটি চট্টগ্রাম অঞ্চলের মুসলিম স্থাপত্য বিকাশের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রার জন্ম দেয়। শুধু স্থাপত্য নিদর্শনেই নয়, শৈল্পিক দিক থেকেও এই মসজিদ উল্লেখ্য। কারণ চট্টগ্রামে মুসলিম বিজয়ের স্মারকস্বরূপ হিসেবে শিলালিপিভিত্তিক যেসব স্থাপনা আছে, সেগুলোর মাঝে আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের গায়ের শিলালিপি অন্যতম। এই শিলালিপি থেকে এর প্রতিষ্ঠাতার নামও পাওয়া যায়। এই মসজিদে পাওয়া সব শিলালিপির সঙ্গে সিরিয়ার রাক্কা নগরের স্থাপত্যকলার মিল পাওয়া যায়।
হাশেমি বংশের পদচারণাঃ
রাসুল (সা.)-এর জামানায় আরবের সেরা বংশ ছিল কুরাইশ। এই কুরাইশ বংশ দুটি গোত্রে বিভক্ত ছিল। ১. হাশেমি গোত্র, ২. উমাইয়া গোত্র। হাশেমি গোত্র ছিল ধার্মিক ও ন্যায়পরায়ণ। বিশ্বনবী রাসুল (সা.) এই হাশেমি গোত্রেই জন্ম লাভ করেন। আউলিয়া কেরামের স্মৃতিধন্য চট্টগ্রাম জেলার তৎকালীন পাঁচলাইশ বর্তমানে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অন্তর্গত জালালাবাদের এক ধর্মভীরু সম্ভ্রান্ত মুসলিম কাজী পরিবারে হাশেমি বংশে আল্লামা কাজী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমি জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষ ইমাম হোসাইন (রা.)-এর বংশধর। তার পিতার পূর্বপুরুষ মদিনা শরিফ হতে হিজরত করে বাগদাদে আসেন। ওখান থেকে দিল্লির বাদশাহ্ আওরঙ্গজেব আলমগীরের আমলে প্রধান বিচারপতি হয়ে দিল্লিতে আসেন। দিল্লি থেকে নবাবি আমলে ইসলাম খাঁর অনুরোধে কাজীর দায়িত্ব গ্রহণ করে বিশেষত ইসলাম প্রচারের নিমিত্তে চট্টগ্রামে তসরিফ আনেন।
ঔপনিবেশিক আমলের স্থাপনাসমূহঃ
চট্টগ্রামের সুদৃশ্য দালানকোঠা, মসজিদ ও পবিত্র সৌধসমূহ অতীতকাল হতে বর্তমান পর্যন্ত এর ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। নগরীর পুরানো ও নতুন অধিকাংশ ইমারত নিচু পাহাড় ও টিলার উপরে এবং উপত্যকা ও সমভূমিতে নির্মিত। দেওয়ানি আদালত, ফৌজদারি আদালত এবং বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, জেলা ও দায়রা জজের কার্যালয় সম্বলিত বিশাল কোর্ট বিল্ডিং পরীর পাহাড়ের উপরে অবস্থিত। এ পাহাড়ের শীর্ষদেশ হতে নিচে শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়। যে কেউ মোহনা পর্যন্ত কর্ণফুলি নদী এবং এর তীর ধরে বন্দর এলাকা, দক্ষিণ দিকে দিয়াঙ ও বাঁশখালী পর্বতশ্রেণী এবং পূর্ব দিকে পার্বত্য অঞ্চল দেখতে পারে। পাহাড়ের পাদদেশ ধরে জেনারেল পোষ্টঅফিস, মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল, নিউমার্কেট এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবন অবস্থিত। রংমহল পাহাড় শীর্ষে জেনারেল হাসপাতাল অবস্থিত। টেমপেস্ট হিলস নামে পরিচিত এক পর্বতশ্রেণীর শীর্ষে টেলিগ্রাফ অফিস, বিভাগীয় বন কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারের বাসভবন অবস্থিত।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর চট্টগ্রামে অবস্থিত। ১৮৯১ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এ রেলপথ পরবর্তী সময়ে পূর্ববাংলা রেলওয়ে এবং ১৯৪৭ সালের পর পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে নামে পরিচিত হয়। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাহাড়তলি পর্যন্ত এলাকা এবং পাহাড়ের পাদদেশ ধরে রেলপথ উত্তর দিকে চলে গেছে; রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ পুরো এলাকার উন্নয়ন সাধন করেছে। এ এলাকা রেলওয়ে কলোনি নামে পরিচিত এবং নগরীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় এলাকার অন্যতম। পাহাড়ের উপরে সুবিধাজনক স্থানে সুদৃশ্য বাংলোগুলি নির্মিত হয়েছে। রেলওয়ে ক্লাব, কর্মচারীদের আবাসিক ভবনসমূহ, রেলওয়ের প্রধান অফিস, রেলওয়ে হাসপাতাল, পাহাড়তলি ওয়ার্কশপ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি এ এলাকাতে অবস্থিত।
নগরীর এক মনোরম স্থানে ১৯১৩ সালে ইংরেজরা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস নির্মাণ করে। পরবর্তী সময়ে এটিকে এক প্রাসাদোপম অট্টালিকার রূপ দিয়ে ভ্রমণরত উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের অস্থায়ী নিবাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বাদশা মিয়া সড়কে অবস্থিত চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি অপর একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইন্দো-বার্মা রণাঙ্গনে আত্মদানকারী মিত্রবাহিনীর ৭৫৫ জন সৈনিকের সমাধি রয়েছে। এখানে সমাধিস্থ সৈনিকদের অধিকাংশই ছিলেন অষ্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা, পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকা, ব্রিটিশ ভারত ও নিউজিল্যান্ডের অধিবাসী। মোট ছয় একর জায়গার উপর বিস্তৃত সমাধিস্থলটির রক্ষণাবেক্ষণ করে কমনওয়েলথ গ্রেভস কমিশন।
চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার জন্য অপর একটি প্রসিদ্ধ স্থান হচ্ছে চাকতাই। প্রকৃতপক্ষে এটি হচ্ছে কর্নফুলী নদীর তলদেশ থেকে জেগে ওঠা একটি পুরাতন ও পরিত্যক্ত স্থলভাগ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চাকতাই খাল নামে পরিচিতি একটি খালপথে নৌকা ও সাম্পান যোগে তাদের মালামাল এখানে নিয়ে আসে। ধনী ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ অফিস, ব্যাংক এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অফিসগুলি এখানে অবস্থিত।
’৭১-এর আন্দোলনে চট্টগ্রামঃ
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রাক্কালে সোয়াত’ জাহাজ থেকে অস্ত্র লুট করে চট্টগ্রামের খালাসিরা বিরাট অবদান রাখেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা প্রচারে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিঃ
চট্টগ্রাম হাজার বছরের পুরনো নিজস্ব এক অনন্য ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক। নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে চট্টগ্রাম উপমহাদেশে অনন্য এক ঐতিহাসিক স্থান। উল্লেখ্য, কলকাতায় তাদের সাহিত্য সংস্কৃতি রক্ষায় গড়ে ওঠার দেড় বছর আগে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। নারী শিক্ষার বিস্তার, দেশীয় শিল্প রক্ষা, প্রথম মুদ্রণ যন্ত্র স্থাপন, সংবাদপত্র প্রকাশের মতো গঠনমূলক কর্মকাণ্ড তখন থেকেই আরম্ভ হয়। দেশীয় শিল্পের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টিতে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে নলিনী কান্ত সেনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয় শিল্প রক্ষিণী সমিতি। তার প্রচেষ্টায় সেসময় অধ্যয়নী সম্মিলনী নামে একটি পাঠাগার স্থাপিত হয়েছিল। এটাই চট্টগ্রামের প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি।
১৯২৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রথমবারের মতো হেমন্ত কুমার সরকারের সঙ্গে চট্টগ্রামে এসেছিলেন। হেমন্ত কুমার দেশবধু চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টির চীফ হুইপ এবং নেতাজি সুভাষ বসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ১৯২৯ সালে তিনি দ্বিতীয়বার চট্টগ্রাম আসেন এবং মুসলিম শিক্ষা সোসাইটির ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভিক্টোরিয়া ইসলামী হোস্টেলে উপস্থিত ছিলেন।
কাট্টলি ইউনিয়ন ক্লাব নজরুলকে এক বিশাল সংবর্ধনা দেয় যেখানে মুসলমান ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ১৯৩৩ সালে কবি নজরুল তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম আসেন প্রধান অতিথি হিসাবে রওজানে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেলা সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিতে। চট্টগ্রামের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সম্প্রসারণে কবির আগমন ছিল অনুপ্রেরণাদায়ক।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত হয়েছে অসংখ্য গান; যা শুধু এ অঞ্চল নয় সমাদৃত হয়েছে বিশ্বপরিমন্ডলে। সংগীত, নৃত্য, নাটক, যাত্রাপালা, কবিগান, লোক-সংগীতের চর্চা এতদঞ্চলে বরাবরই হয়ে আসছে। শিল্পে সাহিত্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও চট্টগ্রাম অঞ্চল শুধু বাংলাদেশে নয় উপমহাদেশে বিখ্যাত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও এ অঞ্চলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পাহাড়-পর্বত, নদী, প্রাকৃতিক ঝরনাসহ অসংখ্য ছোট-বড় সবুজ বনানী চট্টগ্রামকে করেছে অনন্য। সুলতানি এবং মোগল আমলের বেশ কয়েকটি বড় বড় দিঘি রয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে পরাগল খাঁর দিঘি, ছুটি খাঁর দিঘি, নসরত বাদশার দিঘি, আলাওলের দিঘি, মজলিশ বিবির দিঘি, আসকার খাঁর দিঘি, হম্মাদ্যার দিঘি উল্লেখযোগ্য। প্রাকৃতিক এ বিরল সম্পদগুলো চট্টগ্রামের সৌন্দর্য শতগুণ বৃদ্ধি করেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস